সারা বিশ্ব
ট্রাম্পের নোবেল জেতা নিয়ে যা বললেন বিশেষজ্ঞরা

১০ অক্টোবর ঘোষণা হতে যাচ্ছে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম। এ বছরের অন্যতম মূল আকর্ষণ শান্তিতে নোবেল। ঘুরে ফিরেই এ ক্যাটাগরিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম শোনা গেলেও এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবর্তে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার সংগঠন ও সাংবাদিকের কথা বলছেন তারা।
যুদ্ধময় বিশ্বে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। প্রতিবছর বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার অবদান হিসেবে এক বা একাধিক ব্যক্তির হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন নোবেল কমিটি। আগামী ১০ অক্টোবর ঘোষণা হবে কে হতে যাচ্ছেন এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।
৩৩৮ মনোনীত প্রার্থীর মধ্য থেকে বিজয়ী বাছাই করবেন নোবেল কমিটির সদস্যরা। আর এই কমিটিতে কারা থাকবেন তা নির্ধারণ করবে নরওয়ের পার্লামেন্ট। দেশটিরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৫ জনকে নোবেল কমিটির সদস্য নির্বাচন করা হবে। পরে তারা যাচাই বাছাই করে নাম ঘোষণা করবেন নোবেলজয়ীদের।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান বার্গ হার্পিকেন বলেন, ‘প্রচুর আবেদন পেয়েছি। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে নোবেল কমিটির কাছে প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করা হবে। তারা যাচাই বাছাই করে বিজয়ী নির্বাচন করবেন।’
১৮৯৫ সালে সুইডিশ শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী, বর্তমান প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক এগিয়ে নিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে থাকেন তাদেরকেই এ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।
ক্রিশ্চিয়ান বার্গ হার্পিকেন বলেন, ‘বিশ্বে কী ঘটছে তা দেখে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্বের উদ্বেগের কারণ ও প্রত্যাশার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে। শান্তি প্রক্রিয়ার ও বিশ্ব উন্নয়নের অবদানের কথা বিবেচনায় রাখবেন।’
চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত মনোনীত প্রার্থীদের পূর্ণ তালিকা গোপন রাখে নোবেল কমিটি। তবে সুপারিশকারীরা চাইলে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে। এতে কোনো বাধা নেই। এবার সে তালিকায় রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, ন্যাটো, কারাগারে থাকা হংকং- এর মানবাধিকার কর্মী চৌ হ্যাং-তুং, কানাডার মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী আরউইন কটলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করেছে কম্বোডিয়া, ইসরাইল ও পাকিস্তানের সরকার প্রধান। যদিও ডেডলাইন অতিক্রম করায় তাদের সুপারিশ আমলে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ে ট্রাম্পের সম্ভাবনা কতটুকু এ বিষয়ে অ্যাওয়ার্ড বিশেষজ্ঞরা জানান, ট্রাম্প যদি তার নীতির পরিবর্তন করে তবেই কেবল এর সম্ভাবনা থাকবে। যদিও এরইমধ্যে মানবাধিকার সংগঠন, সাংবাদিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছে। অথবা নতুন কিছু ঘোষণা করেও বিশ্ববাসীকে চমকে দিতে পারেন নোবেল কমিটি। নোবেল বিজয়ীকে দেয়া হয় ১১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বা ১২ লাখ ডলার।
আজকাল/১০অক্টোবর২৫/আজা
শেয়ার
Releted News

বিজ্ঞাপন কর্নার।
