যুক্তরাষ্ট্র
ব্রঙ্কসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল

ব্রঙ্কসের খলিল গ্রুপের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল। নতুন মালিকানায় থাকছেন হাসান জনি। আগামী ১ জুন থেকে নতুন মালিকানায় রেষ্টুরেন্টটি পরিচালিত হবে। তবে এটির নামের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। পরিচালিত হবে খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট নামেই।
প্রায় ৬ লাখ ডলারে এই রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রঙ্কসের পরিচিত মুখ ও কমিউনিটি লিডার এম এন মজুমদারের ভাগনে হাসান জনি এটি কিনে নিয়েছেন।
ব্রঙ্কসে একই ভবনে খলিল গ্রুপের দুটি রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। একটি খলিল চাইনিজ ও অপরটি খলিল ফুডকোর্ট। ম্যাকগ্রো এভিনিউ সংগলগ্ন চাইনিজ ও ইউনিয়নপোর্ট সংগলগ্ন খলিল বিরিয়ানী ফুডকোর্ট অবস্থিত। করোনা পরবর্তী সময়ে খলিলুর রহমান খলিল বিরিয়ানী গ্রুপের তত্ত্বাবধানে খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট চালু করেন। এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
এর ১ বছর পর তিনি খলিল পিজা, খলিল গ্রোসারী ও খলিল ফুডকোর্ট চালু করেন। বছর না ঘুরতেই বন্ধ হয়ে যায় খলিল পিজা ও গ্রোসারী। কিন্তু চাইনিজের সমান্তরালে ফুডকোর্টও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এখনও এ দুটি প্রতিষ্ঠান ভোজনবিলাসীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। মধ্যরাত অবধি ফুডকোর্ট জমজমাট থাকে।
হঠাৎ করে খলিল চাইনিজ বিক্রির সংবাদে বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। এমন কি ঘটলো লাভজনক ও জনপ্রিয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান খলিল বিক্রি করতে বাধ্য হলেন!
খলিল চাইনিজের নতুন ব্যবস্থাপক হাসান জনি প্রতিবেদককে বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটি কিনে নিয়েছি। আগামী ১ জুন থেকে নতুন মালিকানায় তা পরিচালিত হবে। আমরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে সেবা দিতে চাই। সবার সহযোগিতা কাম্য।
খলিল গ্রুপের খলিলুর রহমান খলিল প্রতিবেদককে বলেন, আমার ফ্রাঞ্চাইজ হিসেবে এটি বিক্রি করেছি। এর থেকেও আমি লভ্যাংশের একটি অংশ পাব। একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকায় আমি কোনটাতেই মনোযোগ দিতে পারছি না। এ কারনে এটি ছেড়ে দিলাম।
এদিকে খলিল গ্রুপের জামাইকাস্থ খলিল বিরিয়ানী হাউজের পার্টনারদের সাথেও খলিলের বনিবনা হচ্ছে না। কতৃর্ত্ব ও মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে। প্রশ্ন রয়েছে জ্যাকসন হাইটস্থ খলিল বিরিয়ানী হাউজ নিয়েও। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ মে খলিল গ্রুপ ও আশা গ্রুপের উদ্যোগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ । লক্ষাধিক ডলার ব্যয়ের অনুষ্ঠানটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটি।