বাংলাদেশ
যুবদল সভাপতি মুন্নার বিরুদ্ধে ১৮০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ দুদকে
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার বিরুদ্ধে ১৮০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের ঘটনা তদন্ত ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকে আবেদন করেছেন অর্থ পাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আহবায়ক সামিউল হক চৌধুরী। গত ২৯ অক্টোবর তিনি এই আবেদন করেন।
সম্প্রতি ওই অভিযোগটি প্রকাশ হওয়ায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কেননা ওই আবেদনপত্রে এস আলম কর্তৃক ইসলামী ব্যাংক দখল ও আওয়ামী লীগ পতনের পর দখল ছাড়লেও ষড়যন্ত্রের নকশা এঁকেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সাথে এস আলম গ্রুপের ২০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।
ওই আবেদনপত্রে বলা হয়, গত ১১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক কমিটির ও যুবদল মহানগর দক্ষিণের দুশো-আড়াইশো নেতাকর্মী অস্ত্র ও গান পাউডার নিয়ে মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আসে। সেখানে পূর্বের নথি সমূহ বের করা অথবা ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ভিতরে অগ্নি সংযোগ করার চেষ্টা করে।
পরে মুন্না ও নয়নের নেতৃত্বে এস আলমের ভাড়াটে বাহিনী ইসলামী ব্যাংকের সিকিউরিটিদের বাধার মুখে কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে না পেরে ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সিকিউরিটিদের এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ব্যাংকের ছয়জন কর্মচারী আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়। পরদিন সকল জাতীয় দৈনিকে উক্ত ঘটনা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নামসহ ছাপা হয়।
ঘটনার পর আব্দুল মোনায়েম মুন্না চুক্তির ২০০ কোটি টাকা থেকে ১৮০ কোটি টাকা নিজের কাছে রাখে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই অর্থ থেকে রবিউল ইসলাম নয়ন এবং অপর সন্ত্রাসীদের ২০ কোটি টাকা ভাগ করে দেয়। বাকি ১৮০ কোটি টাকাহুন্ডির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনের কাছে পাচার করে মুন্না , যা সুস্পষ্ট মানি লন্ডারিং। অর্থপাচারের ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে এই চিঠির সত্যতার বিষয়ে দুদকের কাছে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান।
এজে