সারা বাংলা
তিনশো আসনেই একক প্রার্থী দেবে জামায়াত: মতিউর রহমান আকন্দ
নিষেধাজ্ঞা আর নেতৃত্বশূন্যতা কাটিয়ে রাজনীতির মাঠে এখন বেশ সরব জামায়াত। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দীর্ঘ সতেরো বছর রাজনীতি কিংবা ভোটের মাঠে কোথাও তেমন সরব ছিলো না দলটি। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে দলটি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই দলীয় কার্যক্রমে বেশ গতিশীল হয়েছে এক সময়ের স্থবির হয়ে পড়া দলটি। একাধিক জেলা কমিটি ঘোষণার পর এবার নতুন করে ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলো জামায়াত । আসন্ন নির্বাচনে তিনশো আসনেই একক প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে একসময়ে বিএনপির সাথে জোট করা এই ইসলামিক দল।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকায় আল-ফারুক ট্রাস্ট মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ জেলা আমিরের শপথ গ্রহণ ও সদস্য সম্মেলনে তিনশো আসনে একক প্রার্থী দেয়ার কথা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ।
তিনি আরও বলেন, এখন জোট হবে কি হবে না—এই প্রশ্ন মাথায় থাকার কোনো দরকার নেই। আমরা যদি দেখি জোটবদ্ধ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের উপকার হবে, আমরা যাব। তা না হলে যাব না। ইসলামের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী কোনো কাজ করবে না। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত।
মতিউর রহমান আরও বলেন, এখন থেকে মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের তত্পরতা শুরু হবে। কোনো জায়গা বাদ যাবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে হবে।’ ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী দিনে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মোকাবেলার একমাত্র শক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকেই বেছে নেবে।
এর আগে সবশেষ গত ১ আগস্ট চলমান আন্দোলনের মধ্যেই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আন্দোলনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ছিল শেখ হাসিনার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি তারা।
জেআই