নিউইয়র্ক
বাংলাদেশ সোসাইটি নির্বাচন: সব পদে জয় সেলিম-আলী প্যানেলের
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমব্রেলা সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেল কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদের সবকটিতে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রুহুল-জাহিদ প্যানেল।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিউইয়র্কে ৫টি কেন্দ্রে একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৮ হাজার ভোটারের মধ্যে গড়ে ৫৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নিউইয়র্কের উডসাইড কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাকিম মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আহবাব চৌধুরী খোকন ও মো. আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২৮৯। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমিন সিদ্দিকী পেয়েছেন ৩৮২০ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দিন দেওয়ান। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৪৯৪। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৪০৫ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৪৮০। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল চৌধুরী পেয়েছেন ৩৪০৯ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৫১৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ আলী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদ মিন্টু পেয়েছেন ৩৮৭২ ভোট।
সহ-সাধারণ পদে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম ভূঁইয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ৫০৮৫। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার খান বাবু পেয়েছেন ৩৮৬৪ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমী। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২৪২। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নওশেদ হোসেন পেয়েছেন ৩৬২৬ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিউক খান। তিনি পেয়েছেন ৫২৩০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদী মিন্টু পেয়েছেন ৩৬৩৯ ভোট।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অনিক রাজ। তিনি পেয়েছেন ৫০৬৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী মনিকা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭২৭ ভোট।
সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. জামিল আনসারী। প্রাপ্ত ভোট ৫২০৭। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নাদির আহমেদ আইয়ুব পেয়েছেন ৩৫৮৮ ভোট।
সাহিত্য সম্পাদক পদে বিজয়ী আখতার বাবুল পেয়েছেন ৪৭৯৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী রোমানা আহমেদ পেয়েছেন ৪০৫২ ভোট।
ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. আশ্রাব আলী খান লিটন। তিনি পেয়েছেন ৫০৯১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ৩৬৮২ ভোট।
স্কুল ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদ নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান জিলানী। প্রাপ্ত ভোট ৫০৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ হোসেন পেয়েছেন ৩৭৯৪ ভোট।
এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- মো. সিদ্দিক পাটোয়ারী (প্রাপ্ত ভোট ৫১৫৮), হারুন চেয়ারম্যান (প্রাপ্ত ভোট ৫২১৮),আবুল কাশেম চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৫১৫০), জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী (প্রাপ্ত ভোট ৫২১৪), মনসুর আহমেদ (প্রাপ্ত ভোট ৫১১৯) এবং হাসান খান (প্রাপ্ত ভোট ৫০৩৩)।
কার্যকরী পরিষদের প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক পদে সেলিম-আলী প্যানেল থেকে রিজু মোহাম্মদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি পর পর চার বার একই পদে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। শিগগিরই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
রুহুল-জাহিদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী বর্তমান কার্যকরী পরিষদের পরপর দুই বারের সাধারণ সম্পাদক। তাদের প্যানেল থেকে বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়াও কার্যকরী সদস্য পদে পরাজিত হয়েছেন।