যুক্তরাষ্ট্র
ঘূর্ণিঝড় মিলটনে তছনছ ফ্লোরিডা, নিহত অন্তত ১০, অন্ধকারে ৩ মিলিয়ন পরিবার
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় মিলটনের আঘাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভূভাগের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড় বেশ কয়েকটি টর্নেডোর জন্ম দেয়, যার ফলে অঞ্চলটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ৩ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। খবর: রয়টার্স
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, ফ্লোরিডা ‘খুব খারাপ অবস্থায় পতিত’ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে। তার পরও ধ্বংসযজ্ঞ একেবারেই সামান্য নয়। এর আগে গত বুধবার রাতে ফ্লোরিডার টাম্পা উপসাগরের উপকূলীয় শহরগুলোতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিলটন। এর প্রভাবে উপকূলীয় শহরগুলোতে আকস্মিক বন্যার দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে—টর্নেডোর কারণেই এসব প্রাণহানি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ফ্লোরিডায় অন্তত ২৭টি টর্নেডোর সৃষ্টি হয়েছিল।
পাওয়ারআউটেজ ডট কমের তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফ্লোরিডায় ৩২ লাখের বেশি পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন ছিল। এর দুই সপ্তাহ আগে ‘হেলেন’ নামে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় এই এলাকায় আঘাত হেনেছিল। তখনো বিপুল পরিমাণ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সেসব বিদ্যুৎ-সংযোগ পুনরুদ্ধারের আগেই এসেছে এই মিলটন।
এর আগে, স্থানীয় সময় গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মিলটন ফ্লোরিডার উপকূলে আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানায়, এ সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। সিয়েস্তা কি নামক একটি দ্বীপে এই গতি রেকর্ড করা হয়। সিয়েস্তা কি দ্বীপটি ফ্লোরিডার টাম্পা বে উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অবস্থিত। এই দ্বীপে প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা আছে।
এজে