বাংলাদেশ
২০২২ সালে কেন কারাবন্দি হয়েছিলেন হাসনাত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার খবর শোনার দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহরা। আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ে আববার ফাহাদ আমাদের প্রথিকৃৎ বলে জানিয়েছেন হাসনাত।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর হওয়ায় তার স্মরণে এক স্ট্যটাসে এসব তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় অংশ নিয়ে ছাত্রলীগের হামলার পর কারাবন্দিও থাকতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে আমাদের পথিকৃৎ আবরার ফাহাদ। আবরার আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে আপোষহীন ভাবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে আবরারের শাহাদাতের খবর পেয়ে মাত্র ২ ঘণ্টায় প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটা আয়োজন করেছিলাম। 'দিল্লি না ঢাকা' স্লোগানে বৃষ্টিতে ভিজে সেদিন মিছিল হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
হাসনাত আরো লিখেছেন, আমরা আবরারকে কখনও ভুলিনি। আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে ২০২২ সালের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা ও পরে ঢামেক থেকে গ্রেপ্তার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি ছিলাম আমরা ২৪ জন। এখন আবরারকে স্মরণ করলে আর হামলা কিংবা গ্রেপ্তার হতে হবে না, সে সময় আর এই সময়ের মধ্যে পার্থক্য এতটুকুই। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং দেশকে দখলমুক্ত করার এই লড়াই দীর্ঘ।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ।
মাত্র ৩৭ দিন তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অখিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। আর দুই বছরের মাথায় আদালত রায় ঘোষণা করে।
সিএম