সারা বিশ্ব
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ২শ নাগরিক সরিয়ে নিলো চীন
লেবাননে ইসরাইলের যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় পুড়ো দেশজুড়ে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে বাসিন্দারা। জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন প্রবাসীরাও। সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ২শ' জনেরও বেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে সফল হয় চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব নাগরিক লেবানন থেকে ফেরত আসতে চেয়েছেন, তাদের সকলকেই সফলভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৬৯জন নাগরিকের প্রথম দলকে নিরাপদে সাইপ্রাসে পৌঁছে দেয় চীন। এরপর বুধবার ভোরে ১শ' ৪৬জন নাগরিকের দ্বিতীয় দলটিকে বেইজিংয়ে ফিরিয়ে আনে তারা।
চীনের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন লেবাননে চীনের একটি এন্টারপ্রাইজে কর্মরত প্রজেক্ট ম্যানেজার হুয়াং শুয়াই। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রশংসা করে হুয়াং বলেন, কূটনীতিকদের সহায়তা ছাড়া প্রক্রিয়াটি সহজ হতো না।
হুয়াং আরও জানান, দূতাবাসের কর্মকর্তারা গত দুই দিন কোনরকম বিশ্রাম নেওয়া ছাড়াই কাজ চালিয়ে যায়। দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সবাইকে তারা আশ্বস্ত করে।
১শ' ৪৬জন নাগরিকের ১শ' ৩৭জনই লেবাননে চীনের অর্থায়ন করা প্রজেক্টে কর্মরত ছিলেন। বাকি ৯জন সেখানে বসবাস করতেন, তাদের একজন হংকংয়ের বাসিন্দা।
লেবানন থেকে ফেরত আসা তাও জিয়াওটেং জানান, তারা ভয় পাননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, তার দেশ কখনোই হাল ছেড়ে দেবে না। ফলে, যথারীতিই তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন। তাও জিয়াওটেং আরও জানান, দূতাবাসের কর্মকর্তারা অকান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করেছেন। ফেরত আসার সময় রাষ্ট্রদূত তাদের সাথেই ছিলেন। এসময় রাষ্ট্রদূত প্রত্যেকের সাথে হাত মেলান এবং আশ্বস্ত করেন।
জাং চাও নামে আরেক ব্যক্তি জানান, বিমানটি যখন ছেড়ে যায়, তখন ক্যাপ্টেন তাদের বলেন কেন্দ্রীয় পার্টির কমিটি এবং স্টেট কাউন্সিলের সহায়তায় সকলকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
ক্যাপ্টেন বলছিলেন, যে মুহূর্ত থেকে তারা বিমানে পা রেখেছেন, তার অর্থ ইতিমধ্যেই সকলেই মাতৃভূমির আলিঙ্গনে ফিরে এসেছেন। এসময় চীনকে অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেন ক্যাপ্টেন। জাং চাও বলেন, যখন তিনি এই কথা বলেন তখন সবাই উত্তেজনায় ফেটে পড়েন এবং করতালি দিতে থাকেন।
এজে