যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন নেই বাইডেনের
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলাকে সমর্থন করবেন না জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এ কথা জানান তিনি। বরং ইসরায়েলকে তার আঞ্চলিক চিরশত্রুর বিরুদ্ধে ‘আনুপাতিকভাবে’ কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরান ইসরায়েলে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার একদিন পরে বাইডেন বলেছিলেন, ‘ইরানের এই হামলা ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান এই হামলার মূল্য দেবে।
গতকাল ধনী দেশগুলোর জোট জি–৭ (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র) এর নেতাদের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পর বাইডেন জানান, তারা সবাই একমত হয়েছেন যে ইরানের প্রতি ইসরায়েলের যেকোনো প্রতিক্রিয়া 'আনুপাতিক' হওয়া উচিত।
কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, এপ্রিলে ইরান যখন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল তার চেয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত তীক্ষ্ণ হবে। তারা তেহরানের পারমাণবিক বা তেল স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে বলে।
অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়াতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াকে সংযত করার জন্য আবার চেষ্টা করবে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে তিনি ইসরায়েলকে সমর্থন দেবেন কিনা জানতে চাইলে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘না।’ তিনি বলেন, ‘ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলবেন। ওয়াশিংটনের এক সূত্রের মতে, ইসরায়েল এখনও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ার লক্ষ্য, সময় এবং উপায়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে।
মার্কিন ওই সূত্র আরো বলেছে, ‘ইরানের আক্রমণকে ব্যর্থ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য নাও হতে পারে। তবে উদ্বেগের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য চুপও করে থাকার সম্ভাবনা নেই, কারণ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ বিলম্বিত হলে প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকারিতা হারাবে।’
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে বাইডেন প্রশাসন কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছে। নিয়মিত যুদ্ধবিরতি থামার ভবিষ্যদ্বাণী করলেও এখনও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।
সিএম