যুক্তরাষ্ট্র
অঙ্গরাজ্যের ভোটেই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন ট্রাম্প
১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বররে মধ্যে ইমারসন কলেজের সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেন। এসব রাজ্যে তিনি ২৮১টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন। আর এর মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ম্যাজিক সংখ্যা ২৭০ অতিক্রম করতে পারেন।
এই জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প এগিয়ে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, নেভাদা ও পেনসিলভানিয়ায় এগিয়ে রয়েছেন। এসব রাজ্য থেকে তিনি মোট ৬২টি ইলেক্টরাল ভোট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের ভোটের হার হচ্ছে যথাক্রমে জর্জিয়ায় ৫০ ও ৪৭ শতাংশ, অ্যারিজোনা ও উইসনকসিনে ৪৯ ও ৪৮ শতাংশ (উভয় রাজ্যে), নেভাদায় ৪৮.৪ ও ৪৭.৭ শতাংশ এবং পেনসিলভানিয়ায় ৪৮ ও ৪৭ শতাংশ।
কমলা হ্যারিস নর্থ ক্যারিলোনা (৪৯ ও ৪৮ শতাংশ) এবং মিশিগানে (৪৯ ও ৪৭ শতাংশ) এগিয়ে আছেন। এই দুই রাজ্য থেকে তিনি ৩১টি ইলেক্টরাল ভোট পেতে পারেন।
ইমারসনের নির্বাহী পরিচালক স্পেন্সর কিম্পবেলের বক্তব্য অনুযায়ী, ভোটারদের মধ্যে কোনো দোদুল্যমনতা নেই। আগের জরিপে ভোটারদের মধ্যে যে অবস্থান দেখা গিয়েছিল, এবারো প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। নর্থ ক্যারোলিনা ও অ্যারিজোনায় ট্রাম্প এক পয়েন্ট হারিয়েছেন, কমলা হ্যারিস এক পয়েন্ট পেয়েছেন। কিন্তু মিশিগান, নেভাদা ও উইকনসিনে আগের চিত্রই বহাল রয়েছে। আবার মিশিগান ও নেভাদায় কমলা হ্যারিস এক পয়েন্ট করে খুইয়েছেন। উইসকনসিনে অবশ্য একই অবস্থানে আছেন। জর্জিয়ায় ট্রাম্প ৩ পয়েন্ট এগিয়ে গেছেন, হ্যারিস হারিয়েছেন ২ পয়েন্ট। জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ট্রাম্প ২৮১টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন। ফলে তার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের দ্বিতীয় সুযোগ ঘটবে।
তবে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মতে, তারা ট্রাম্পকে সমর্থন করলেও দিনশেষে কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হবেন। এমনটা মনে করেন নর্থ ক্যারিলিনার ৫৩ শতাংশ, মিশিগানের ৫২ শতাংশ, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ৫১ শতাংশ এবং নেভাদার ৫০ শতাংশ মানুষ।
সিএম