নিউইয়র্ক
৯/১১: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় টুইন টাওয়ারে নিহতদের স্মরণ
শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় সেদিনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ করেছে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রবাসী। হামলার ২৩তম বার্ষিকীর দিনে নিউইয়র্কে একত্র হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দিনে এক সুতোয় বাঁধা পড়েন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান নেতারাও।
প্রতি বছর ১১ সেপ্টেম্বর ‘নাইন ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিত দিনটি ঘিরে শোক পালন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে বিধ্বস্ত টুইন টাওয়ারে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।
অনুষ্ঠানে যোগ দেন আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভ্যান্সও।
একদিন আগেই বিতর্কের মঞ্চে কামালা ও ট্রাম্প যেভাবে একে অপরের সাথে বিরুদ্ধ মনোভাবাপন্ন ছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত স্পর্শকাতর বেদনাদায়ক এদিনটিতে তারা ছিলেন সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক। এ সময় কামালা ও ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে করমর্দন এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন।
দিনটি উপলক্ষে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে সন্ত্রাসী হামলায় বিধ্বস্ত টুইন টাওয়ারের স্থলে নির্মিত স্মৃতিসৌধে নিহতদের নামের পাশে ফুল ও পতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন বয়সী শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সারা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ওই দিন আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা দুটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা চালায়। আরেকটি উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ে পেন্টাগনে। হামলা হয় পেনসিলভেনিয়াতেও।
ইতিহাসের ভয়াবহ এই হামলায় প্রাণ যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষের। এদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। হামলায় আহত হন ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ। এরপর থেকেই সারাবিশ্বে শুরু হয় সন্ত্রাস বিরোধী বিভিন্ন অভিযান।
এজে