সারা বিশ্ব
পানামায় ১২০০ বছরের পুরোনো সোনার ভাণ্ডার উদ্ধার
১২০০ বছরের পুরোনো সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছে পানামা। প্রত্নতত্ত্ববিদরা পুরোনো এ ধনভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছেন। শুক্রবার (০৮ মার্চ) দ্য মেট্রোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১২০০ বছরের পুরোনো সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছে পানামা। প্রত্নতত্ত্ববিদরা পুরোনো এ ধনভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছেন। শুক্রবার (০৮ মার্চ) দ্য মেট্রোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটি পুরোনো সমাধি থেকে এ সোনার ভাণ্ডার উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে এ সমাধিতে প্রভাবশালী কোনো নেতার সঙ্গে মানুষদের উৎসর্গ করা হয়েছিল।
হাজার বছরের এ পুরোনো এসব ভাণ্ডার পানামার এল কানো আর্কোলজিক্যাল পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পানামার রাজধানী পানামা সিটি থেকে ১১০ মাইল দূরের এ জায়গায় কোকল সংস্কৃতির কোনো উচ্চ পদস্থ প্রধানের সঙ্গে দাফন করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সমাধিস্থল থেকে সোনার চাদর, বেল্ট, গহনা-গাটি, তিমি মাছের দাঁত দিয়ে তৈরি কানের দুল, মানুষের আঙুল দিয়ে তৈরি আংটি, কুমিরের কানের দুল, ঘণ্টা, কুকুরের দাঁত দিয়ে তৈরি স্কার্ট, হাড় দিয়ে তৈরি বাঁশি ও মাটির থালাবাটি পাওয়া গেছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, কোকল যুগের কোনো উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিকে এখানে দাফন করা হয়েছিল। তার সঙ্গেই এসব সোনাদানা সমাহিত করা হয়েছিল।
কেবল সোনাদানাই নয়, এ সমাধি থেকে ৩২ জনের বেশি মানুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। ওই সময়ে এসব লোককে একসঙ্গে সমাধিস্থ করার অর্থ মনে করা হতো, তারা পরের জীবনে একসঙ্গে থাকবেন। তবে সেখানে ঠিক কতজন ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।
পানামার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এসব প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ খুবই অমূল্য। ৭৫০ শতাব্দীতে এটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সময়ে সমাজের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য সমাধিটি তৈরি করা হয়েছিল।
খনন কাজের পরিচালক ডা. জুলিয়া মায়ো বলেন, এ লোকদের পরকালে সঙ্গী হিসেবে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে সেবা করার উৎসর্গ করা হয়েছিল।
এল কানোর এটির খননকাজ ২০০৮ সালে শুরু করা হয়েছিল। এটিকে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা ৭০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে নির্মিত হয়েছিল এবং ১০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছিল।