রাজনীতি
এবার সিন্ডিকেট-মজুতদার ধরবেন শেখ হাসিনা: শামীম ওসমান
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যারা যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছেন তারা হয়তো শেখ হাসিনাকে চিনেন না। যা কামিয়েছেন, সেগুলো যেখানেই রাখেন না কেন, শেখ হাসিনা সেই টাকা বের করে আনবেন। মানুষের পেটে লাথি মারলে আর কেউ ছাড়ুক, শেখ হাসিনা ছাড়বেন না। এবার এই মুনাফাখোর, দুর্নীতিবাজ, মজুতদার সিন্ডিকেট ধরবেন শেখ হাসিনা। টের পাবেন বাঘে ধরলেও ছাড়বে কিন্তু শেখ হাসিনা ছাড়বেন না।
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যারা যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছেন তারা হয়তো শেখ হাসিনাকে চিনেন না। যা কামিয়েছেন, সেগুলো যেখানেই রাখেন না কেন, শেখ হাসিনা সেই টাকা বের করে আনবেন। মানুষের পেটে লাথি মারলে আর কেউ ছাড়ুক, শেখ হাসিনা ছাড়বেন না। এবার এই মুনাফাখোর, দুর্নীতিবাজ, মজুতদার সিন্ডিকেট ধরবেন শেখ হাসিনা। টের পাবেন বাঘে ধরলেও ছাড়বে কিন্তু শেখ হাসিনা ছাড়বেন না।
সোমবার বিকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিলের পূর্বে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, আননোন (অচেনা) নম্বর থেকে আমাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে আমাকে মিছিলে গুলি করে মেরে ফেলবে। আমি বলেছি আমরা যারা ৭৫-এর হত্যার বিচারের দাবিতে রাজনীতিতে এসেছি তারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেই এসেছি। ১৬ জুনের বোমা হামলা করেও মারতে চেয়েছিল, এখনো শরীরে ২০টার বেশি স্প্লিন্টার নিয়ে ঘুরছি। কবে মারবি তারিখ আর সময় বলে দে, তোরা ১০ হাজার থাকবি আর আমি একাই যাব। আমরা যারা আল্লাহর ওপর ভরসা করে চলি তারা মৃত্যুকে ভয় পাই না।
এদিকে বিকাল ৪টায় শান্তি মিছিলের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও দুপুর ২টা থেকেই পঞ্চবটি এলাকায় ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা বাদ্য-বাজনা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উৎসবের আমেজে আসতে থাকেন। বিকাল সোয়া ৪টায় শুরু হওয়া মিছিল ততক্ষণে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে অবস্থান করছিল।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে শামীম ওসমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমি নির্বাচনের আগে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম আমার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কী অবস্থা। আজকের মিছিলে ফতুল্লা ছাড়া অন্য এলাকার নেতাকর্মীদের আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। ১ দিনের নোটিশে আমি যা দেখলাম তাতে আমি আপনাদের কাছে জীবনভর কৃতজ্ঞ।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারা ভায়োলেন্স করবেন না, যেভাবে অতীতে শান্ত ছিলেন সেভাবেই থাকবেন। ২০০১ সালে ওরা ক্ষমতায় এসে আমাদের বহু নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। আমার বাপ-দাদার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। আমরা প্রতিশোধ নেইনি। আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। সেজন্যই এতদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায়।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। বিপুল ভোটে জাতির পিতার কন্যা পাশ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন। এবার ধরা হবে মজুতদার, মুনাফাখোর আর দুর্নীতিবাজদের। এক সময় বলা হতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না, কিন্তু বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার হবে না, ফাঁসি হয়েছে। তাই এবার এই সিন্ডিকেটের কোমরও ভাঙা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।